বিড়ালের পাতলা পায়খানা হলে করণীয়

বিড়ালের পাতলা পায়খানা হলে করণীয় - বিড়ালের মাঝে মাঝে পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে । যার কারণে বিড়াল অনেক অসুস্থ হয়ে যায়। পাতলা পায়খানার পরিমাণ বেশি হলে বিড়াল মারাও যেতে পারে। তাই পাতলা পায়খানা অস্বাভাবিক হওয়ার আগে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিড়াল যেহেতু মুখে কথা বলতে পারে না। তাই যতটা সম্ভব পাত্তা পায়খানা ঠিক করার চেষ্টা করতে হবে। তাই আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে বিড়ালের পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি এ বিষয়ে।

কিউট বিড়াল ছবি - বিড়ালের পাতলা পায়খানা হলে করণীয়


বিড়ালের পাতলা পায়খানা হলে করণীয়

বর্তমান সময় আমরা অনেকেই  বিড়াল পুষি। কারণ বিড়াল এমন একটা প্রাণী যেটি মানুষের সাথে খুব বন্ধুত্ব পূর্ণ আচরণ করে। বিড়াল খুব দ্রুত মানুষকে আপন করে নেয়। যারা বিড়ালকে একটু বেশি ভালোবাসে তাদের বিড়ালের কিছু হলে মন খারাপ হয়ে যায় মাঝে মাঝে বিড়াল অনেক অসুস্থ হয়ে যায়। তার ভিতর অনেক সময় দেখা যায় বিড়াল বারবার পাতলা পায়খানা করছে। তাই আজ আমি আপনাদের জানিয়ে দেবো বিড়ালের পাতলা পায়খানা হলে কি করতে হবে।

কারণ


  • বিড়ালের অনেক কারণে ।পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে।এই সময় বিড়ালের একটু বেশি যত্ন নেওয়া দরকার । কারণ তখন বিড়াল কোন খাবার গ্রহণ করতে চায় না। আর বারবার পাতলা পায়খানা করার  ফলে বিড়ালের শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। তাই বিড়ালকে বারবার স্যালাইন পানি খাওয়াতে হবে।
  • বিড়ালের পাতলা পায়খানা বিভিন্ন কারণে হয় যার ভিতর একটি হল খাদ্যাভ্যাস এর পরিবর্তন। তাই বিড়ালের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। তাই হঠাৎ করে খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করা যাবে না।
  • বাসি খাবার যেটা মানুষ এবং প্রাণীর ক্ষেত্রে খুবই খারাপ। বিড়ালের পাতলা পায়খানা হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো বাসি খাবার । তাই কোন মতে বিড়ালকে বাসি খাবার খাওয়ানো যাবে না ।
  • বিড়ালের কিরমি, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস আক্রমণের ফলে পাতলা পায়খানা হতে পারে।

করণীয়


  • পাতলা পায়খানা হলে করণীয় প্রথমত তাকে পানি খাওয়াতে হবে বেশি। কারণ পাতলা পায়খানার ফলে দেহে যে পানি শূন্যতা দেখা যায় তার ঘাটতি পূরণ হবে। ফ্রেশ পানির সাথে  স্যালাইন মিশে খাওয়াতে হবে। স্যালাইন প্রতি তিন ঘন্টা পর পর খাওয়াতে হয়।
  • এ সময় বিড়ালকে চিকেন সুপ কিংবা চিকেন খাওয়াতে হবে। চিকেন খাওয়ালে পায়খানা শক্ত হয়ে যায়  দ্রুত।
  • ভাতের মার যেটি বিড়ালের পাতলা পায়খানা হলে খুবই উপকারী। তাই চেষ্টা করতে হবে ভাতের মার খাওয়ানোর জন্য। এতে পাতলা পায়খানা খুব দ্রুত কমে যাবে।
  • বিড়ালের পাতলা পায়খানা হলে কলা সিদ্ধ করে খাওয়াতে হবে । অনেক সময় দেখা যায় কলা সিদ্ধ করে খাওয়ালে কাজ হয় না। তখন কাঁচা কলা রস করে 3 mm পরিমাণ খাওয়াতে হবে। 
  • ভাত এবং সিদ্ধ আলু একসাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। এতে বিড়ালের পাতলা পায়খানা অনেক বেশি কমে যাবে।
  • বিড়ালে পেটে গ্যাস হলে ঘাস খাবাতে হবে। কারণ বিড়ালের পেটে যে কোন সমস্যা হলে ঘাস খাবাতে হবে। 


পাতলা পায়খানা হলে আপনার বিড়ালের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ অতিরিক্ত পরিমাণ তথ্য পায়খানা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার। যদি আমি খেয়াল করেন একদিন বা ২৪ ঘন্টার বেশি পাতলা পায়খানা হচ্ছে।  তবে কাল বিলম্ব না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

আপনি যদি খেয়াল করেন পাতলা পায়খানার শুরু থেকে বিড়ালের জ্বর জ্বর ভাব। আর সাথে বার বার  বমি করছে । আপনি যদি খেয়াল করেন পায়খানার রং কালো এবং সাথে রক্ত আসছে । তবে যত দ্রুত সম্ভব একজন পশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে কথা বলতে হবে।


বিড়ালের গ্যাস হলে করণীয়

বিড়ালের গ্যাস খুব সহজে সারিয়ে ফেলা যায় । বিড়ালের গ্যাস হলে কি করে বুঝবেন। আপনি যনি খেলা করে আপনার বিড়াল বমি করছে। আর বমি টা হচ্ছে সাদা ফেনার মত। তখন বুঝতে হবে আপনার বিড়ালের গ্যাস হয়েছে। দুই একবার হলে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই। কারণ  দুই একবার আর বমি হওয়ার একটা স্বাভাবিক। যদি আপনি খেয়াল করেন কিছু সময় পর পর বমি করছে তবে দুটো পদক্ষেপ নিতে হবে।


বিড়ালের দুটি কারণে থেকে বেশি গ্যাস হয়ে থাকে। বিড়াল যদিও অনেক সময় না খেয়ে থাকে তবে গ্যাস হতে পারে। আর অতিরিক্ত খেলে বা খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করলে গ্যাস হয়ে থাকে। আমি আবারও বলছি বিড়ালের জন্য খাদ্য অভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিড়ালের খাদ্যা অভ্যাস হঠাৎ পরিবর্তন হলে অনেক সমস্যা দেখা দেয়।

আপনি খেয়াল করেন আপনার বিড়ালের গ্যাস হয়েছে। তবে তাকে ঘাস খেতে দিন। যদি আপনি বার বার খাবিয়ে থাকেন তবে খাবারের পরিমাণ একটু কমিয়ে দিন। আপনি বিড়ালের খাবারের ক্ষেত্রে একটা রুটিন তৈরি করতে পারেন।কারণ অস্বাভাবিক ভাবে বিড়াল কি খেতে দিলে পেটে গ্যাস দেখা দেয়। তবে আপনার যদি বিড়াল ছানা হয় তাকে ঘাস দেওয়ার দরকার নেই। কারন সে ঘাস দিলেও খাবে না কারণ ঘাস খাবার ব্যাপারটা সে বোঝেনা। তাই তাদের স্যালাইন পানি খাওয়াতে পারে এতে গ্যাস কমে যাবে।

আশা করা যায় এই ছোট খাটো নিয়ম গুলো মানবে সহজে বিড়ালের গ্যাস কমানো যায়। যদি তবুও না  কমে তবে তাদের গ্যাসের ওষুধ দিতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে যদি আপনার বিড়ালের যে বাচ্চা থাকে তবে না দেওয়াই ভালো। 

আর তারপরেও যদি গ্যাস কমানো সম্ভব না হয়। তবে একজন পশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে কথা বলতে হবে।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url