কাজু বাদাম ও কিসমিসের উপকারিতা
কাজু বাদাম ও কিসমিসের উপকারিতা
প্রতিদিন আমরা অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু সব খাবার দিয়ে আমাদের ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণ হয় না। তাই ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণ করে, শরীরকে সুস্থ রাখতে কাজুবাদাম ও কিসমিস খাওয়া দরকার আছে। কাজুবাদাম ও কিসমিসের ভিতর থাকে প্রচুর পুষ্টিকর উপাদান। যে সকল উপাদান থাকে কাজু বাদাম ও কিসমিসে ভিটামিন ই, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার,কোপার, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিংস
কাজু বাদাম:
রাতে কাজু বাদম ভিজিয়ে রাখবেন। সারা রাত ভিজিয়ে রাখা বাদাম সকালে খেলে বার্ধক্যে হাড়ের ক্ষয় নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কাজু বাদাম এতেই রয়েছে ভিটামিন কে, মিনারেলস, ভিটামিন বি৬, যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে পেশির ব্যথা, যন্ত্রণাও ভালো হয়ে থাকে, দাঁত কে মজবুত করে।
কিসমিস শরীরের জন্য অনেক উপকারী।কেননা এটা শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে। কিসমিসে আছে নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল। কিসমিসে আছে ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও অন্যান্য অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি। যা আপনাকে শক্তি বৃদ্ধি করে। এবং আপনার চুল ও ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সহায্য করে।কিসমিস না খেয়ে ও শুধু কিসমিসের পানি খেলেও উপকার হয়।
কিসমিন ভিজানো পানি খেলে কি হয়
- ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
- রক্ত স্বল্পতা বা রক্ত শূন্যতা কমায়
- হজমশক্তি ও খাওয়া প্রতি রুচি বাড়ায়।
- শরিরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- শরীরে বিষ মুক্ত করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য সম্যসা ভালো হয়ে যায়।
- দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
- কিসমিস চুলের জন্য উপকারী
- কিসমিস কিডনিতে পাথর হওয়া রোধ করে
- কিসমিস ঘুমের জন্যও ভালো কাজ করে।
ডায়াবেটিস রোগী কি কিসমিস খেতে পারবে
ডায়াবেটিস রোগীদের বেশি মিষ্টি না খেলেই ভালো হয়, তবে পরিমাণ মতো থেকে পানিতে ভিজিয়ে খাইতে পারেন বা ২-৪ শুধু খাইতে পারেন।কারণ কিসমিসের গ্লাইসেমিক সূচক মাঝারি। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
গর্ভবতী মায়ের কিসমিন খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভবতী অবস্থায় কিসমিস ড্রাই ফ্রুট খাওয়ার পাশাপাশি কিসমিস অনেক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা আছে। কিসমিস আয়রনের খুব ভালো কাজ করে, যা গর্ভবতী মহিলাদের পক্ষে খুবই জরুরী। কেননা কিসমিসে আয়রন থাকার কারনে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। কিসমিস হজমে সাহায্য করে এবং ফাইবারের ভালো কাজ করে, এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। কিশমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। Tests গর্ভাবস্থায় শরীরের অনেক ক্লান্ত থাকে কিসমিস সেই ক্লান্তি দূর করতে ও সাহায্য করে।
দুধের সাথে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
দুধের মধ্যে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম রাইবোফ্লাবিন ও ভিটামিন বি এর মতো অনেক পুষ্টিজাত পদার্থ আছে ৷ এছাড়াও দুধে ভিটামিন এ, ডি, ই সঙ্গে ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, আয়োডিন-সহ বেশ কয়েকটি উপকারী খনিজ আছে ৷আর কিসমিস সম্পর্কে আগেই বলা হয়েছে তাই এই দুটো উপকরণ এক সাথে খায়লে আরো পাওয়া যায়—
- ক্লান্তি-দুর্বলতা ও রক্তের অভাব দূর করে
- পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- হাড় শক্ত হয়।
- যৌন জীবন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
কিসমিস আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।এটা সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খাইলে অনেক উপকার হয়।শুধু কিসমিস ছাড়া ও কিসমিসের সাথে অনেক উপকরণ মিশিয়ে খাইলে আরো অনেক উপকার হয়।পুষ্টিবিদদের মতে, দিনে ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম কিসমিস খাওয়া যেতে পারে।