ঘন ঘন গলা শুকিয়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার

ঘন ঘন গলা শুকিয়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার 

 আমাদের  ভিজা রাখতে ও খাদ্য হজম করতে লালার প্রয়োজন।  ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক মাধ্যমে মুখের ভিতর নিয়ন্ত্রণ করে  বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ হতে বাধা দিয়ে থাকে। যখন কেউ মুখে যথেষ্ট লালা তৈরি করতে পারেনা তখন তার মুখ শুষ্ক হয়ে যায় ফলে গলা শুকিয়ে যায়। এই গলা শুকিয়ে যাওয়ার কিছু কারণ নিচে আলোচনা করা হলো:—

ঘন ঘন গলা শুকিয়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার

গলা শুকয়ে যাওযার কারণ

  • বিভিন্ন বড় রোগের লক্ষণ হতে পারে গলা শুকিয়ে যাওয়া।যেমন ক্যান্সার। এ হলে কেমো দিতে হয় ফলে শরীরে অনেক ঘাম হয় এবং শরীর চুল লোম উঠে যায়।এতে শরীরে পানির ঘটতি হলে ঘন ঘন গলা শুকিয়ে যায়। 

  • অবস্বাদের কারণে গলা শুকিয়ে যেতে পারে।যারা অবস্বাদে ভোগেন তাদের গলা শুকিয়ে যেতে দেখা যায়।

  • সেপসিস একটি বড় ধরনের রোগ।এটি বিভিন্ন ধরনের জিবাণু থেকে ইনফেকশন হলে গলা শুকিয়ে যাওয়ার উপসর্গ দেখা যায়।

  • ডাইবেটিস হলে ঘন ঘন প্রসাব হয়,এতে শরীরে পানির পরিমাণ কমে,,পনির ঘটতি দেখা দেয়,ফলে গলা শুকিয়ে আসে।

  • শরীরে পানির  পরিমাণ কমে গেলে  সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্লোরাইডের মতো ইলেকট্রোলাইটেরও ঘাটতি তৈরি হয় তখনগলা শুকিয়ে যায়,যাকে বলে (ডিহাইড্রেশন)।শিশুদের ক্ষেত্রে এটা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। 

  • যাদের উচ্চ রক্তের চাপ তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ায় পানির পরিমাণ ঠিক থাকে না।এতে গলা শুকিয়ে যায়।

  • ফুসফুসের সমস্যা হলে বা সর্দির জমাট বাধার কারনে গলা শুকিয়ে যেতে পারে।

  • হার্ট,কিডনি,লিভার ইত্যাদি কারণে গলা শুকিয়ে যেতে পারে। 

  • বিভিন্ন রোগের বিভিন্ন ঔষধ খেলে যেমন: ব্যথা, অ্যালার্জী, মৃগী, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়রিয়া, মানসিক অসুখ,ব্রণ,সেই ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কারণ ও গলা শুকিয়ে যায়। এছাড়া মাংশপেশী শিথিল করী জন্য ও ঘুমের ঔষধ বেশী খেলেও গলা শুকিয়ে যেতে পারে।

  • ঠান্ডা লাগে নাক বন্ধ   থাকার কারণে গাল দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে হয়।।সে কারণে ও গলা শুকিয়ে যেতে পারে।


গলা শুকিয়ে যাওয়ার প্রতিকার

গলা শুকিয়ে যাওয়া একটি খারাপ সমস্যা এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে কিছু প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন।


  • প্রথমত প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে হবে। এতে গলা শুকিয়ে যাওয়া হাত থেকে সাহায্য করবে এবং মুখকে ময়েশ্চারাই করবে।

  • গবেষণায় দেখা গেছে, চা বা কপিতে প্রচুর গলা শুকিয়ে যায়। তাই চা বা কফি খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। এতে গলা শুকিয়ে যাওয়া দূর হবে।

  • যদি কেউ অ্যালকোহল পান করে তাহলে অ্যালকোহল  করা বন্ধ করতে হবে। এতে গলা শুকিয়ে যাওয়া হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে।

  • ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার কম খেতে হবে।এতে গলা শুকিয়ে যাওয়া বোধ করবে।

  • যারা ধূমপান করে, তাদের ধূমপান করা বন্ধ করতে হবে। 

  • চিনি-মুক্ত লজেন্স, ক্যান্ডি বা চুইংগাম খেতে পারেন প্রতিদিন ২-৩ টা এতে আপনার গলা শুকিয়ে যাওয়া বোধ করবে। 

  • অ্যালকোহল ফ্রী মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। এতে জাইলিটল পদার্থ থাকে যা লাল গ্রন্থি থেকে লালা নিঃসরণ  করতে সাহায্য করে।

  • যারা মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়, তাদের যতটা সম্ভব মুখ দিয়ে শ্বাস না নিয়ে নাকের মাধ্যমে শ্বাস ফেলার চেষ্টা করতে হবে। এতে গলা শুকিয়ে যাওয়া হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

  • ফ্লোরাইডাইড সমৃদ্ধ টুথপেষ্ট দিয়ে সাথে ব্রাশ করার পাশাপাশি ৬ মাস পর পর দাঁতের ডাক্তারের কাছে যেতে হবে মুখে কোনো ইনফেকশন আছে কিনা,মারি থেকে রক্ত পরছে কিনা বা মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে কিনা সেটাও চেকআপ করতে হবে।

  • আদা মুখে রাখতে পারেন কারণ আদা মুখে লালা গ্রন্থি থেকে লালা মিশ্রণ করতে সাহায্য করে। এতে গলা শুকিয়ে যাওয়া বোধ করে। 

  • কোল্ড ড্রিংকস বা প্যাকেট জাতীয় খাবার কম খেতে হবে এতে শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। 

  • এলোভেরা জুস খেতে পারেন এতে গলা শুষ্কতা কমাই।

শেষ কথা

আমি পুরোপুরি ভাবে গলা শুকয়ে যাবার কারণ ও প্রতিকার তুলে ধরেছি। কোন বানান ভূল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনাদের মূল্যবান কমেন্ট দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করবেন ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url