কি খেলে বুকের দুধ বারে
বাচ্চা জন্মের প্রথম ৬মাস মায়ের দুধ এক মাত্র খাবার । বুকের দুধ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বাচ্চাকে সুস্থ্য সবল করে থাকে। বাচ্চাদের জন্য মায়ের দুধের বিকল্প কিছু নেই । কিন্তু বাচ্চাকে দুধ খাবনো সময় স্তনে পর্যাপ্ত পরিমান দুধ থাকে না । যেটা দুরচিন্তার হয়ে দাড়ায় । তাই আজ বলবো কি খেলে বুকের দুধ বারে ।
কি খেলে বুকের দুধ বারে
শিশুকে সুস্থ্য রাখতে প্রতিনিয়ত বুকের দুধ খাবাতে হবে । আর যখন বুকে দুধ থাকে না তখন মা দের খাবারের দিকে নজর দিতে হবে ।কারণ এমন কিছু খাবার আছে যে গুলো খাইলে বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে । আর এখন যানবো কোন খাবার খাইলে কি খেলে বুকের দুধ বারে।
মেথি:
মেথি বীজ বুকের জন্য অত্যন্ত গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বুকের দুধ বৃদ্ধিতে প্রকৃতিক ভাবে খুবই কার্যকারি হলো মেথি বীজ। বেথি বীজ খাইলে ২৪ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে বুক দুধ বৃদ্ধি শুরু হয়ে যায় । মেথি আপনি যে ভাবে খান আপনা বুকে দুখ বাড়াতে সাহায্য করে । আপনি চাইলে চা এর সাথে মেথি খাইতে পারে। আবার চাইলে তরকারি সাথে খাইতে পারেন। মেথি যে দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে তা বিঙ্গানিক ভাবে প্রমাণিত।
শাক-সবজি:
শাক সবজি খাবার অনেক উপকার আছে। তার মধ্যে একটা হলো বুকের দুধ বৃদ্ধি । তাজা শাক সবজি এমন সব পুষ্টি সরবারহ করে থাকে যা বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । তাই আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন শাক-সবজি রাখতে হবে যদি আপনি বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে চান।
তিল :
তিল বিজ এমন একটি খাদ্য যা অনেকেই খাবার পরামার্শ দিয়ে থাকে দুধ বৃদ্ধি করার জন্য। তিলে প্রচুর পরিমান ক্যালসিয়াম পাবা যায় যা মায়ের দুধ বৃদ্ধি করে থাকে । তিল বীজ মা ও শিশু কে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে । প্রসাবের পর মায়ের কর্মক্ষমতা ও সুস্থ্যতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে তিল বিজ। তাই আপনি আপনার রান্নার তরকারির সাথে তিল ব্যবহার করতে পারেন। যদি বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে চান।
গাজর:
গাজর বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । গাজন ভিটামিন-এ সমূদ্ধ খাবার । যা বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে প্রচুর ভূমিকা রাখে । তাই গাজর স্যালাটের মত করে বা রস করে খেতে হবে । বুকের দুধ বৃদ্ধির খাবার গুলোর ভিতর গাজর একটি অন্যতম খাবার ।
মিষ্টি আলু:
মিষ্টি আলুতে আছে ভিটামিন-সি, বি-কমপ্লেক্স এবং ম্যাগনেসিয়াম যা মায়ের দুধ বৃদ্ধি করে থাকে । মিষ্টি আলু মাকে কর্ম শক্তি যোগাতে সাহায্য করে । তাই মাকে মিষ্টি আলু খাইতে দিতে হবে।
কাজু বাদাম:
কাজু বাদাম পুষ্টি তে ভরপুর। কাজু বাদামে আছে ভিটামিন-ই । কাজু বাদাম দুধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে । তাছাড়া কাজু বাদাম কে একটা স্বাস্থ্যকর খাবার বলে মানা হয় । তাই মা দের কে ডাক্তারা কাজু বাদাম খাইতে পরামার্শ দিয়ে থাকে ।
পানি :
বুকের দুধ বাড়ানো খাবার যাচাই করতে যেয়ে আমারা অনেক সময় পানিকে বাদ দেয় । কিন্তু বুকের দুধ উৎপাদন করা জন্য পানি পরিমান মত একান্ত খাবা দরকার । তাই বুকের দুধ বাড়াতে সারা দিন প্রচুর পানি পান করতে হবে ।
ছোলা :
ছোলা যে শুধু বুকের দুধ বাড়ায় এমন না। ছোলা এক জন্য সুস্থ্য মানুষ কে আরো শক্তিশালি করে । ছোল একটি ক্যালিসিয়াম এবং ভিটামিন বি কমপেক্স যুক্ত খাবার যা বুকে দুধ তৈরি করে থাকে। তাই বুকের দুধ বাড়াতে ছোলা খাইতে হবে ।
দুধ:
ক্যালসিয়ামে ভরা দুধ । বিশেষ করে গরুর দুধ খাবাতে হবে। গরুর দুধে আছে ক্যালসিয়াম আর ফোলিক এসিড যা মায়ের বুকের দুধ উৎপাদন করতে সাহায্য করে । দুধ শুধু যে বুকের দুধ বাড়াতে সাহায্য করে এমন না , দুধ মা ও বাচ্চা কে পুষ্টি যোগান। তাই কম পক্ষে দিনে দুই গ্যাস দুধ খাইতে হবে ।
মৌরি বীজ:
মৌরি বীজ বুকে দুধ উৎপাদন বাড়ায় । মৌরি বীজ দুধ তৈরি করে তা সাথে গ্যাস ও পেটে ব্যাথার জন্য খুবই কার্যকারি । আর এর গুলো মায়ের দুধের মাধ্যমে বাচ্চা শরিরে পৌছায়, যা বাচ্চার জন্য অনেক উপকার । মৌরি বীজ বুকের দুধ বৃদ্ধির সহায়ক হিসাবে কাজ করে । তাই বুকের দুধ বৃদ্ধি করা জন্য আপনি প্রতিদিন মৌরি বীজ ভিজিয়ে খাইতে পারেন বা চা এর সাথে খাইতে পারেন।
পেপে:
পেপে কাচা হোক বা পাকা হোক এটি মায়ের দুধ তৈরি করে । দুধ তৈরি ফলের তালিকার ভিতর পেপে একটা অন্যতম ফল। তাই বুকে দুধ বাড়াতে পেপে খাইতে হবে ।
টোফু:
টোফু একটা অন্যতম খাবার বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে । টোফু তে আছে খনিজ,প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম যা দুধ বৃদ্ধি করতে অসাধারণ সাহায্য করে থাকে। টোফু শুধু দুধ বৃদ্ধি করে না শরির কে সুস্থ্য রাখে । তাই টোফু শাক সবজি বা ডাল এর সাথে মিশিয়ে খাইতে পারেন।
স্তনে দুধ না থাকলে বাচ্চা কে দিয়ে বার বার টানাতে হবে । কারণ বাচ্চা যত বেশি টানবে তত হরমোন নির্গন হবে । যার ফলে দুধ উৎপাদন বেশি হবে ।