ঠান্ডা জ্বরের ঘরোয়া চিকিৎসা

জ্বর এটা স্বাভাবিক ছোট বড় সকলের হতে পারে। এ সমস্যা সাধারণ হঠাৎ করে হয়, আবার হঠাৎ করে ঠিক হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এই ঠান্ডা বা সর্দি জ্বর কিছু লক্ষণ বা উপসর্গ রয়েছে। সেগুলো হলো—

ঠান্ডা জ্বরের ঘরোয়া চিকিৎসা


লক্ষণঃ


  • হাঁচি
  • কাশি
  • জ্বর 
  • গলা ব্যাথা
  • মাথা ব্যাথা
  • মাংসপেশিতে ব্যাথা 
  • সর্দি লাগা
  • নাক বন্ধ হওয়া এবং কোন গন্ধ না পাওয়া। 
  • স্বাদ কমে যাওয়া
  • কানেও মুখে চাপ অনুভব করা



ঠান্ডা জ্বরের ঘরোয়া চিকিৎসা

বিশ্রাম ও ঘুমঃ 

ঘুম মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।এজন্য ঠান্ডা বা সর্দি জ্বরের সময় বিশ্রাম নিলে ও একটু বেশি ঘুমালে এ সমস্যা দ্রুত ঠিক হয়ে যায়। 


উষ্ণ পরিবেশে থাকাঃ

ঠান্ডার জ্বরের সময় উষ্ণ পরিবেশে থাকলে, বৈষ্ণব পোশাক পড়লে, এবং শরীর উষ্ণ রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।


গলার যত্ন নিনঃ

ঠান্ডা লাগলে গলায় ব্যথা হওয়া সাধারণ লক্ষণ। এ সময় হালকা গরম পানিতে লবণ দিয়ে গড়গড়া করতে হবে এবং হালকা গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু দিয়ে খেতে পারেন।এতে আপনার গলায় ব্যাথা দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।


 পানি ও পানীয় পান করাঃ

প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে।পানির পাশাপাশি গরম গরম সুফ ও ফলের রস পান করুন এতে পানি শূন্যতা পূরন করে এবং দ্রুত ঠান্ডা জ্বর থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।


শাকসবজিঃ

কচুশাক,পালং শাক, আলু, গাজর, মিষ্টি কুমড়া এইগুলো শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।


এছাড়া ও জাউ ভাত,খিচুড়ি  বিভিন্ন ধরনের সবজির স্যুপ খেতে হবে।এতে রোগ প্রতিরক্ষমতা বাড়ায় এবং দ্রুত ঠান্ডা জ্বর ঠিক হয়ে যায়।


ঠান্ডা জ্বর হলে যেসব খাওয়া উচিত নয়


কলাঃ 

কলা শরীরে দ্রুত এনার্জি তৈরি করে। ঠাণ্ডা পাস সর্দি জ্বরের সময় তা বেড়ে যেতে যেয়ে আরো ঠান্ডা লাগতে পারে।তাছাড়া অনেক চিকিৎসক সর্দি জ্বরের সময় কলা খেতে নিষেধ করেছে। তাই ঠান্ডা জ্বর এর সময় কলা না খাওয়া ভালো।


পেঁপেঃ

পেঁপে খুবই উপকারী ফল। তবে সর্দিকাশি থাকলে এটি না খাওয়াই উচিত। কারণ এতে হিস্টামিন উপাদান থাকে ফলে ঠান্ডা জ্বরের  সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। ফলে শ্বাসের কষ্ট শুরু হয়। 


 শুকনো খাবারঃ

বিশেষজ্ঞরা বলেন শুকনো খাবার হিস্টামাইন মাত্রাও যথেষ্ট বেশি থাকে। ফলে শ্বাসকষ্ট ও মাথাব্যাথা বাড়ে। তাই জ্বর সর্দিকাশিতে এটি খাওয়া উচিত নয়। 


ফ্রায়েড ফুড বা ভাজাভুজিঃ

তেলেভাজা বা অতিরিক্তি মশলাযুক্ত খাবার শরীরের পক্ষে ভালো না। তবে যদি কাশি বা বুকে ব্যাথা থাকে, তাহলে এই খাবার  আরও ক্ষতি করে। তাই জ্বর সর্দিকাশিতে ভাজাভুজি বা অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খাওয়া একদম  উচিত না।


ঠান্ডা জাতীয় খাবারঃ 

ঠান্ডাবাজ সর্দি জ্বর হলে ঠান্ডা জাতীয় খাবার একদম পরিহার করা উচিত। কেননা ঠান্ডা  জাতীয় খাবার খেলে বুকে সর্দি জমে মারাত্মক ক্ষতি করে।


জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত:


ঔষধঃ


প্যারাসিটামল:

জ্বর ও মাথা ব্যাথার জন্য প্যারাসিটামল সেবন করতে পারেন।প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর। 


জ্বর অতিরিক্ত বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url