গলায় কফ আটকে থাকেলে কি করনীয়
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে শীত কাল আসে । আর শীত কালে শুরু হয় সর্দি কাশি । আর সর্দি কাশি থেকে আমাদের গলায় ও বুকে কফ জমে । শিশুদের এই সমস্যা দেখা দেয় । আবার বড় দের ও হয় । কাশির সাথে গলা থেকে বেরিয়ে আসে কফ। অনেক সময় তো গলা থেকে কফ সরতে চায় না , তখন খুব অসহ্য লাগে ।
আমাদের দেশে অনেকেই এটা খুব সাধারণ সমস্যা বলে মনে করে । কিন্তু চিকিৎসকদের মতে সময়মতো চিকিৎসা না নিতে এর বড় রূপ ধারণ করতে পারে। তাই বিষয়টা একদম হালকা ভাবে নেওয়া যাবে না। চলুন আজকে জেনে নেবা যাক গলায় কফ আটকে থাকলে কি করনীয়।
গলায় কফ আটকে থাকেলে কি করনীয়
কফ অনেকদিন জমে থাকার ফলে আমাদের শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে। তাই এ বিষয়ে আমাদের পুরোপুরি সতর্ক হতে হবে।
অনেকেই আছেন যারা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে কফ দূর করার চেষ্টা করে।
কিন্তু আমরা যদি কিছু নিয়ম অবলম্বন করি তবে ঘরোয়া উপায় গলার কফ সরাতে পারি। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই নিয়মাবলী গুলো কি।
১. গরম পানির সাথে লবন মিশিয়ে গার্গল করতে হবে। এক গ্লাস কুসুম পানিতে দুই দিন টেবিল চা চামচ পরিমাণ লবণ মিশিয়ে নিন। তারপর নিযমিত গার্গল করতে থাকুন যত দিন না ঠিক হয় । তাছাড়া লবণ জল দিয়ে গড়গড় করলে আপনার শ্বাস যন্ত্রের অনেক উপকার হয়।
২. চা কফ এর জন্য খুব কার্যকারি । চা গলার ব্যাথ্যা জন্যও খুক কার্যকর ।চা শ্বাশ নালির পরিষ্কার করে যার ফলে গলার কফ পরিষ্কার হয়ে যায় ।
৩. তুলসী পাতা সর্দি কাশির জন্য খুব কার্যকরী। প্রতিদিন সকালে কয়েকটা তুলসী পাতা চাবিয়ে খাবেন। তুলসী পাতা সর্দি কাশি দূর করতে খুবই কার্যকর এটি প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হয়ে থাকে।
৪. মধু ও আদা সর্দি কাশি কফ এর জন্য অনেক কার্যকারি। আপনার বুকে কফ জমে থাকলে প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু হালকা পরিমাণ আদা খান।এটা আপনার গলার কফ দ্রুত পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৫. গরম পানির ভাব নিন। পানির সাথে ইউক্যালিপটাস ও রোজমেরির মতো উদ্ভিদের তেল নিন। তারপর পানি ফুটিয়ে ফেলুন এবং ফুটন্ত অবস্থায় যে ভাব উড়ে তা নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণ করুন। এর ফলে আপনার নাক ও গলা পরিষ্কার হবে।
৬. পুষ্টিকর খাবার খাইতে হবে। বেশি বেশি পেঁয়াজ, আনারস, রসুন, আদা, গোলমরিচ এবং এলাচ খাইতে হবে ।এগুলো খাওয়ার ফলে আপনার কফের সমস্যা দূর হবে।
বাচ্চাদের বুকের কফ দূর করার ঘরোয়া উপায়
বড়দের সাথে আমাদের ছোট বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশি হয় । যার কারণে বাচ্চাদের নাক বন্ধ হয়ে যায় সাথে গলাও কফ জমে । এর জন্য বাচ্চারা ঘুমাতে পারে না । যার ফলে সব থেকে ভোগান্তিতে পড়ে বাবা মায়েরা । তাই বাবা মায়েরা ডাক্টারে পরামার্শ নিয়ে হাই পাওয়ারের কিছু ওষুধ বা এন্টিবায়েটি খাবিয়ে থাকে । কিন্তু ছোট বাচ্চা দের হাই পাওয়ার এর ওষুধ খাবানো এক দম ঠিক না । এক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু কাজের মাধ্যমে ঘরোয়া কিছু উপায়ে বাচ্চাদের বুকের কফ দূর করা যায় । চলুন যেনে নেবা যাক বাচ্চাদের বুকের কফ দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো:
- কুসুম গরম পানির সাথে এক চামস মধু আর লেবু মিশিয়ে খাবাতে হবে । এটা আপনার শিশু কে আরাম দেবে আর বুকে জমে থাকা কফ থেকে মুক্তি দেবে।
- বাচ্চাদের ঘুমানো সময় মাথা কিছু টা উচু করে রাখতে হবে। এত বাচ্চার শ্বাস প্রশ্বাস নিতে সুবিধা হবে।
- ঠান্ডার লাগলে আপনার শিশুকে হালকা টক যেমন টমেটো আর রসুনের সুপ খাবাতে হবে । এর ফলে আপনার শিশু সর্দি কফ গলিয়ে আরাম দেবে ।
- সর্দি কাশি হলে আপনার শিশু কে ভাব দিন। একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে আপনার শিশু কে ভাব দিন । এর ফলে আপনার শিশুর নাক পরিষ্কার হবে । যার কারণে শিশুর নিশ্বাস নিতে আর সমস্যা হবে না ।
- আপনার শিশু যাদির দেড় বছর এর বড় হয়ে থাকে তবে আমার বাচ্চাকে প্রতিনিয়ত এক চা চামস পরিমান খাটি মধু সাথে তুলশি পাতা খাবাতে পারেন ।যেটা আপনা বাচ্চাকে সর্দি কাশি কফ থেকে মুক্তি দেবে।
- বেশি পরিশ্রম না করতে চাইলে আপনার শিশুকে নাকে ড্রপ দিতে পারেন । এতে আপনার শিশু উপর তেমন কোন প্রভাব পড়বে না ।
- খুব ছোট বাচ্চাদের বার বার বুকের দুধ খাবাতে হবে । এত শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে ।
গলায় কফ জমে কেন
ঠান্ডা লাগার ফলে সর্দি কাশির মত সংত্রমণ রোগ হয়ে থাকে । আর এই সকল রোগের লক্ষণ হিসাবে গলায় কফ জমে। কফ জমার ফলে নিউমনিয়া হতে পারে । বুকে কফ যাওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ হতে পারে। তাই বুকে কফ জমলে সতর্ক হতে হবে আর দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলার চেষ্টা করতে হবে।
বুকের কফ বের করার সিরাপ
কফ সর্দি কাশি একটি যন্ত্রনাদায়ক অসহ্য অসুখ। যা আমাদের ঠিক মত ঘুমাতে দেই না আবার ঠিক মত নিশ্বাস নিতে দেয় না । তাই অনেকেই যানতে চাই বুকের কফ বের করার সিরাপের নাম। অনেকেই আবার ভুল ওষুধ খেয়ে থাকে । যা কোন কাজ করে না । বাংলাদেশের বাজারে কফ বের করা অনেক ওষুধ আছে কিন্তু সব ওষুধ ভালো কাজ করে না । আর ডাক্টারা সব ওষুধের পরামার্শ দেয় । আজ আমি আপনাদের জানাবো এমন কিছু সিরাপ যা চিকিৎসকরা পরামার্শ দিয়ে থাকে । আর যে কোন ফার্মেসিতে পাবা যায় ।
তবে যেনে নেবা যায় সিরাপ গুলো নাম:
- এডোভাস ১০০মি.লি.
- মালভাস ১০০মি.লি
- ডিভাস ১০০মি.লি.
এই তিন টা সিরাপ খুব জনপ্রিয় বাংলাদেশের বাজারে । আর খুই কার্যকারি বুকের কফ বের করা জন্য।
বুকের কফ বের করার ঔষুধ নাম
বুকের কফ বের কারা ঔষুধ নাম জানার জন্য হয়ত এত সময় অনেক পোষ্ট পড়া শেষ । কিন্তু তাও যানতে পারছেন না কোন ওষুধ টা কফ বের করার । চিন্তা করার কারণ নেই আমি আজ আপনাদের জানিয়ে দেব বাংলাদেশে কফ বের করা তিন টা ওষুধের নাম। যে তিন টা ওষুধ কফের জন্য বহুল ব্যাবহারিত হয়ে থাকে।
চলুন তবে কথা না বাড়িয়ে যেনে নেবা যাক।