বিড়ালের উকুন দূর করার ঔষধ | বিড়ালের গায়ে পোকা দমন
বিড়ালের উকুন দূর করার ঔষধ - আমারা যারা বাড়িতে বিড়াল পালন করি , তাদের বিড়ালের একটি সাধারণ সমস্যা হলো বিড়ালের উকুন। যে টা টীক ও ফ্লী নামে পরিচিত। এটি বিড়ালের গায়ের এক ধরণের ছোট পোকা। যে টা বিড়ালের জন্য ক্ষতি কর । তাই আজ আলোচলার বিষয় হলো বিড়ালের উকুন দূর করার ঔষধ।
বিড়ালের উকুন দূর করার ঔষধ | বিড়ালের গায়ে পোকা দমন
বিড়ালের উকুন যে টা সবাই টীক , ফ্লী বা পোকা নামে যাকে । এর কারণে বিড়ালের চামড়ায় বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে । এই উকুন কামড়ায় যার ফলে বিড়ালের শরীর চুলকায় জালা পোড়া করে । যে কারণে বিড়ালে এলার্জি দেয় দেয় । এই উকুন বেশি পরিমান হয়ে বিড়ালের রক্ত শুন্যতা দেখা দেয় ।
বিড়ালের শরিরে উকুন এর উপস্থিতি সব সময় বোঝা যায় না ।কারণ এই উকুন প্রচুর ডিম পাড়ে যা দ্রুত বংস ছাড়ায় । তাই এদের দ্রুত নিরমূল করতে হবে ।
আপনার বাসায় যদি একের অধিক বিড়াল থাকে । আপনি যাদি খেয়াল করেন আপনা যেকোন একটা বিড়ালের গায় উকুন হয়েছে । আর যদি খেয়াল করেন অন্য বিড়ালের গায়ে উকুন হয়নি । তবে যে বিড়ালে গায়ে উকুন হয়েছে তাকে দ্রুত সারিয়ে ফেলতে হবে। কারণ একটি বিড়ালের শরীর থেকে অন্য সব বিড়ালের গায়ে ছড়িয়ে যাবে । আর যে বিড়ালের উকুন হয়েছে তার উকুর ধ্বংস করতে হবে ।
আপনার বাড়ি যদি বিড়াল ও বিড়াল ছানা থাকে, তবে উকুন এর ক্ষেত্রে বেশি সতর্ক হতে হবে। কারণ বিড়ালের বাচ্চাদের জন্য উকুন খুবি ক্ষতিকর । বিড়ালের বাচ্চাদের বয়স যদি ২ মাস ১৫ দিনের কম হয় তবে কোন ঔষধ, পাইডার , শ্যাম্পু সব ইত্যাতি ক্যামিকেল ব্যাবহার করা যাবে না । বিড়ালের বাচ্চাদেরে ক্ষেত্রে হাত দিযে উকুন ধরে মারতে হবে ।
বিড়ালের উকুন দূর করার ঔষধ হিসাবে শ্যাম্পু , স্প্রে ও লোশন ব্যাবহার করা হয় । তবে আবার মানুষের শ্যাম্পু , স্প্রে ও লোশন ভেবে ভূল করবেন না । বিড়ালের জন্য আলাদা শ্যাম্পু , স্প্রে ও লোশন পাবা যায় । যে গুলো বিড়ালের উকুন দমন করে । এই গুলো আপনি বাজারেরে ফামের্সী থেকে কিনতে পাবেন । যদি ফামের্সী না পাবা যায় তবে অনলাইন থেকে কিনতে পারেন । তবে চলুন যেনে নেবা যাক বিড়ালের গায়ে পোকা দমন করার ঔষধের নাম।
এই ওষুধগুলো ব্যবহার করলে আপনার বিড়ালের উকুন নির্মূল করা সম্ভব। এই ওষুধগুলো আপনি যেকোনো ফার্মেসিতে পাবেন। আর যদি ফার্মেসিতে না পান তবে পাশাপাশি Pet Shop এ খোঁজ নিতে পারেন। আর তাও যদি আপনি খুঁজে না পান। তবে অনলাইনে খোঁজ করতে পারেন। এই ওষুধগুলো বিড়ালের উকুন দূর করতে খুবই কার্যকরী।
বিড়ালের উকুন দূর করার উপায়
বিড়ালের উকুন দূর করতে বিভিন্ন ঔষুধ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ছোট বাচ্চা বিড়ালদের ঔষধ দেওয়া যায় না। ওষুধ দিলে উকুন দূর হয় না এমনটা একদম নয়। কিন্তু ওষুধ দিলে লাভের থেকে ক্ষতিটা বেশি হয়। কারণ বাচ্চা বিড়াল ওষুধের প্রভাব সহ্য করতে পারে না। তাই বাচ্চা বিড়ালদের জন্য বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে উকুনের ক্ষেত্রে। বাচ্চা বিড়ালদের জন্য উকুন নিজে হাতে ধরে ধরে মারতে হবে। বাচ্চা বিড়ালদের ক্ষেত্রে নিজে হাতে ধরে উকুন মারলে সবথেকে বেশি ভালো হয়।
বিড়ালের উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায়
বিড়ালের দূর করার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায় । তবে আমরা অনেকেই চাই কোন প্রকার ওষুধ ছাড়া বিড়ালে উকুন দূর করতে। আর ওষুধ ছাড়া উকুন দূর করার পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করলে ওষুধের থেকে ভাল কাজ হয়। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিড়ালের উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায়।
- বিড়ালের শরীর থেকে উকুন গুলো নিজের হাতে ধরে ধরে দূর করতে পারে। এতে আপনার একটু সময় নষ্ট বেশি। কিন্তু খুবই কার্যকারিতার সাথে আপনি কোনগুলো দূর করতে সক্ষম হবেন ।
- বিড়ালের উকুন দূর করতে আপনি চিরুনি ব্যবহার করতে পারেন । একটু ঘন চিরনি দিয়ে আঁচড়িয়ে দিলে খুব সুন্দর উকুন বের হয়ে আসে। এতে আপনার সময় ও বাঁচবে আর উকুন দ্রুত বের করে ফেলতে পারবেন।
- বিড়ালের উকুন দূর করার সাথে সাথে যদি জীবানু ধ্বংস করতে চায় তবে নিমপাতা ব্যবহার করতে পারে। পাতা পানির সাথে গরম করে নিতে হবে। তারপর পানিটা হালকা গরম অবস্থায় স্প্রে করতে পারেন। নিম পাতা ও গরম পানির রস দিয়ে গোসল করিয়ে দিতে পারেন। এতে আপনার বিড়ালের জন্য খুবই উপকারী হবে। আর এই কাজটি করলে সাথে সাথে উকুন চলে যাবে এমনটা একদম না। তাই আপনার এ কাজটা পাঁচ থেকে ছয় দিন ধরে করতে হবে। আর তাছাড়া গরম পানি দিয়ে গোসল করালে উকুন দমন করা সম্ভব।
এই কাজগুলো করলে আপনার বিড়ালের উকুন ঘরোয়া ভাবে দূর করতে পারবেন। আর যদি আপনি এই কাজগুলো করতে না চান তবে তাদের বিভিন্ন ঔষধ পাওয়া যায়। সেই সকল ওষুধগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তবে ঘরোয়া ভাবে উকুন দূর করলে কোন প্রকার প্রতি সম্ভাবনা থাকে না।